স্বপ্নজাল
— Mantasa
ঐ দূর থেকে বহুপথ পেরিয়ে
কর্ণযুগলে ভেসে আসে আজানের ধ্বনি,
এ এক অদ্ভুত অনুভূতি—
তাকাই মুই, পেছন ফিরি।
হে চাঁদ! দেখিতেছি তোকে মায়াভরা চোখে,
তবু যেন পারি না ডাকতে তোকে।
তবু যেন চেয়ে থাকিস মোর দিকে,
পলক মরে না কোনো তোমার।
দেখি মুই তোকে এক জলন্ত পিণ্ডরূপে,
এ যেন এক নক্ষত্র স্বরূপ।
দায়িত্ব পালনে তুই সদা তৎপর,
ছড়িয়ে দিস ধরাতে তোর আলো।
আন্ধকারের মাঝে এ যেন অনবদ্য রূপ,
নিজের অর্জন বিলিয়ে দিস সৌন্দর্য সৃষ্টিতে।
ছড়িয়ে দিস আলো ঐ আকাশে—
দেখি মুই তা আঁখি মিলিয়ে।
বিচরণ করি ঐ দূর আকাশের বুকে,
ডানা মেলিয়া দেই ঐ নীলের পানে।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়াই মোর আলো—
দেখি ভুবন ধরা প্রাণবন্ত হয়ে।
এ যেন এক চাঁদের অনুরূপ,
দেখি মুই তা মোহে বিভোর।
চোখ মেলিয়া দেখি মুই—
এ শুধুই স্বপ্ন ছিল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া মুই কোথা,
দেখি তোকে জানালার পানে।
বন্দি মুই মানুষরই মায়াঝালে,
বন্দি মুই ধনকুবের উঠোনে।
তবু যেন দেখি তোকে ঐ জানালার পানে,
দেখি তোর আলো খেলছে ঐ আজানের ধ্বনিতে।
হচ্ছে পৃথিবী তোর আলোয় আলোকিত,
অন্ধকারেও এ যেন এক নতুন পথের দিশারী।
তবুও কি জাগে কোন আলোকিত মানব-হৃদয়?
তবে কেন আমি বন্দি এ প্রাসাদতুল্য ভবনে?
স্বাধীন হয়েও স্বাধীন নই মুই,
ব্যক্ত করতে পারি না কোনো মোর অভিব্যক্তি।
অভিযোগের খাতা যেন বন্ধই থাকল,
বন্দি থাকল মোর হাজারো স্বপ্নের ধারা।
তবে যদি কেউ আসে মোর জীবনে—
তবে আসুক সে এই বন্দিত্বের কবল থেকে।
করুক রক্ষা মোর স্বপ্নগুলোকে,
তুলুক মুক্তি মোর হৃদয়ের আলোকে!